২০২০ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী


 

২০২০ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী

বাংলাদেশে ২০১৯-২০ করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীটির প্রথম সংক্রমণ ঘটে ৮ই মার্চ ২০২০ সালে (১ মাস ও ৩ সপ্তাহ পূর্বে)। আজ ২৮শে এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে সর্বমোট ৫৪,৭৩৩ জনের; যার মধ্যে বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায়, ৪,৩৩২ জনের এবং তাদের মধ্যে আক্রান্ত পাওয়া গেছে ৫৪৯ জন। এখন পর্যন্ত পরীক্ষায় সর্বমোট আক্রান্ত পাওয়া গেছে ৬,৪৬২ জন; যাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ী চলে গেছেন ১৩৯ জন। দেশে মোট মৃত্যু ১৫৫ জনের যাদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায়  জন।[১]
আইইডিসিআরের ২৭ এপ্রিলের সকাল ৮ ঘটিকা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুসারে দেশের ৮ টি বিভাগের ৬০ টি জেলায় আক্রান্তের ঘটনা নিশ্চিত করা গেছে। মহানগর ব্যতীত, ঢাকা বিভাগে সর্বোমোট আক্রান্ত ১,৬৮০ জন এবং শতকরা হারে ৩২.৩১% (ঢাকা মহানগরে ২,৭১৭ জন এবং আক্রান্তের হার ৫২.২৬%)। চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বোমোট আক্রান্ত ২০১ জন এবং শতকরা হারে ৩.৮৭%। সিলেট বিভাগে সর্বোমোট আক্রান্ত ৮৯ জন এবং শতকরা হারে ১.৭১%। রংপুর বিভাগে সর্বোমোট আক্রান্ত ৮২ জন এবং শতকরা হারে ১.৫৮%। খুলনা বিভাগে সর্বোমোট আক্রান্ত ৮৩ জন এবং শতকরা হারে ১.৬০%। ময়মনসিংহ বিভাগে সর্বোমোট আক্রান্ত ২০১ জন এবং শতকরা হারে ৩.৮৭%। বরিশাল বিভাগে সর্বোমোট আক্রান্ত ১০২ জন এবং শতকরা হারে ১.৯৬%। রাজশাহী বিভাগে সর্বোমোট আক্রান্ত ৪৪ জন এবং শতকরা হারে ০.৮৫%। [২]
অনেক বিশেষজ্ঞ, প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় কম পরীক্ষা করাকেই, দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কম পাওয়ার কারণ হিসেবে বিবেচনা করছেন (২২ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে সর্বোমোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৩২,৬৩০ টি যা ভারতে ৫০০,৫৪২ টি এবং পাকিস্তানে __ টি)। [৩]
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৪ কোটি জনসংখ্যার দেশ হিসেবে যথেষ্ট পরিমান পরীক্ষা বাংলাদেশে করা হয়নি।[৩][৪] সংবাদপত্র ও সামাজিক মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর লক্ষণসহ অনেকসংখ্যক রোগীর মৃত্যুসংবাদ এসেছে যার মধ্যে কিছুসংখ্যক ভূয়া এবং ষড়যন্ত্রতত্ব বলে প্রামানিত হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় জেলা হাসপাতালে আইসোলেশনে রেখে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল তবে কয়েকজনকে চিকিৎসা দিতেও অস্বীকৃতি জানানো হয় যদিও যাচাই নিশ্চিত করতে কোনই পরীক্ষা করা হয়নি।[৫] দীর্ঘ সময় যাবত পরীক্ষা প্রক্রিয়াকে শুধুমাত্র রাজধানীর 'আইইডিসিআর' এ বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছিল যদিও কোভিড-১৯ এর লক্ষনসহ রোগীর খোঁজ সারাদেশেই পাওয়া গিয়েছিল।[৬]
'আইইডিসিআর' কর্তৃক একগুচ্ছ হটলাইন নাম্বার, ই মেইল অ্যাড্রেস এবং তাদের ফেসবুক পাতা জনগণের জন্য সরবরাহ ও নিশ্চিত করা হয়েছিল যাতে তারা দরকারী তথ্য বা কোভিড-১৯ সন্দেহে যোগাযোগ করতে পারেন।[৭]
২২ মার্চ, বাংলাদেশ সরকার ১০ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল যা ২৬ মার্চ - ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর করা হয়েছিল।[৮] পরবর্তীতে তা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধীত করা হয়। অতঃপর পুনরায় তা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধীত করা হয়। নতুন করে আবারও সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ৫ মে পর্যন্ত। [৯]
১৮ এপ্রিলের তথ্যানুসারে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশী। বাংলাদেশের হার ৪% যা ভারতে ৩.৩; পাকিস্তানে ১.৮; শ্রীলঙ্কায় ২.৯; এবং আফগানিস্তানে ৩.৬% । দক্ষিণ এশিয়ায় নেপাল,ভুটান ও মালদ্বীপের অবস্থান তুলনামূলক ভাল। শুরুতেই 'লকডাউন' বাস্তবায়ন করতে পারাকে এর কারণ হিসেবে দাবী করছেন বিশেষজ্ঞরা।[১০]
এই ব্যাধিটির সাধারণ উপসর্গ হিসেবে জ্বর, সর্দি এবং শ্বাসকষ্ট দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রে মাংসপেশীর ব্যথা, বারবার থুতু সৃষ্টি এবং গলায় ব্যথা দেখা যেতে পারে।[১১] বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপসর্গগুলো নমনীয় আকারে দেখা যায়,[১২] কিন্তু কিছু গুরুতর ক্ষেত্রে ফুসুফুস প্রদাহ (নিউমোনিয়া) এবং বিভিন্ন অঙ্গের বিকলতাও দেখা যায়।[১৩] সংক্রমিত হবার পরে এই ব্যাধিতে মৃত্যুর হার গড়ে ৩.৪%, যেখানে ২০ বছরের নিচের রোগীদের মৃত্যুর হার ০.২% এবং ৮০ বছরের উর্ধ্বে রোগীদের প্রায় ১৫%।

আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাবাংলাদেশে প্রথম করোনভাইরাস শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিন জন ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির কথা ঘোষণা করেন তিনি। তিনি জানান, তাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ এর মধ্যে।[২৭] তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়। রোগীদের মধ্যে দুজন পুরুষ প্রবাসী বাংলাদেশী ছিলেন যারা সবে ইতালি থেকে ফিরে এসেছিলেন এবং একজন মহিলা আত্মীয় ছিলেন, যিনি তাদের একজনের সংস্পর্শে এসে সংক্রামিত হন। এর আগে আইইডিসিআর এই বলে সতর্ক করে দিয়েছিল যে, দেশের জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে, করোনভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ, এবং একই সাথে প্রতিষ্ঠানটি ভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে জরুরি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা ঘোষণা করে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে, বাংলাদেশ সরকার এর আগে বাংলাদেশে প্রবেশের সমস্ত বন্দরগুলিতে তাপীয় পর্দা (থার্মাল স্ক্রিনার) স্থাপন করে এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলিতে স্থল ও বিমান ভ্রমণ স্থগিত করে। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে দেখা যায় যে অন্যান্য দেশ থেকে আসা প্রায় একশত প্রবাসীকে নিজগৃহে সঙ্গনিরোধ (হোম কোয়ারান্টিন) অবস্থায় রাখা হয়েছে।
১০ মার্চ, আইইডিসিআর-এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, করোনাভাইরাস আক্রান্ত তিনজন ছাড়া বাংলাদেশে নতুন কোন আক্রান্ত ব্যক্তি নেই।[২৮]
১১ মার্চ, আইইডিসিআর-এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, ১০ মার্চের পরীক্ষায় আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুই জন সুস্থ হয়েছেন এবং তাদের ছাড়পত্র প্রদান করা হবে।[২৯]
১২ মার্চ, দুইজন করোনভাইরাস রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে, পরীক্ষা করে তাঁদের শরীরে কোভিড-১৯ পাওয়া যায়নি। ডাব্লুএইচও প্রোটোকল ব্যবহার করে তাদের পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং পরপর দুটি পরীক্ষায় প্রমাণিত হয় যে তারা আর সংক্রামিত নন। ফলস্বরূপ, আইইডিসিআর ছাড়পত্র দিয়ে তাদের বাড়িতে যেতে অনুমতি দেয়া।
১৪ মার্চ, আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, পুনরায় আরো ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।[৩০]
১৬ মার্চ, ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ১৮ মার্চ হতে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর স্থগিত করা হয়।[৩১][৩২][৩৩] আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, পুনরায় আরো ৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।[৩৪]
১৭ মার্চ, আইইডিসিআর এর পরিচালক সেব্রিনা ফ্লোরা জানান নতুন করে আরও ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।[৩৫]
১৮ মার্চ, ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় আরও ৪ জন, এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ তে পৌছায়।[৩৬][৩৭] আইইডিসিআর কর্তৃক বলা হয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর প্রথম মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির বয়স ছিল ৭০ বছর। মারা যাওয়া ব্যক্তি বিদেশ থেকে আসা ও সংক্রমিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।[৩৮]
১৯ মার্চ, বাংলাদেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় আরও ৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সংখ্যা মোট ১৭ জনে পৌঁছায়। নতুন করে যে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন, তারা ইতালিফেরত এক ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।[৩৯] ঐদিন বিকালে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা লক ডাউন তথা ওষুধ, কাঁচামাল, মুদি দোকান বাদে সব দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।[৪০][৪১] ঢাকা থেকে রাজশাহী এবং রাজশাহী থেকে ঢাকার সকল বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।[৪২] সচিবালয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের প্রস্তুতি বিষয় জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান করোনাভাইরাসের কারণে সঙ্গনিরোধ (কোয়ারেন্টিন) ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসাকাজে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে তুরাগতীরের মাঠ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।[৪৩] বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে সকল প্রকার ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।[৪৪]
২০ মার্চ, বাংলাদেশে নতুন করে তিনজন আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা সংবাদ সম্মেলনে জানান এদের সবাই কোনো না কোনোভাবে প্রবাসীর সংস্পর্শে ছিলেন।[৪৫]
২১ মার্চ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২য় রোগীর মৃত্যু হয়েছে এবং আরো ৪ জন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪।[৪৬] এদিন মধ্যরাত থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত ১০ রুটের সব ধরণের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়ে।[৪৭]
২২ মার্চ, নতুন করে আরো ৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। আগের তিনজনসহ মোট পাঁচজন সুস্থতা লাভ করে।[৪৮] পহেলা এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়।[৪৯][৫০] বিকালে এক ঘোষণায় দোকান মালিক সমিতি ২৫শে মার্চ থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের সব বিপণিবিতান বন্ধ ঘোষণা করে।[৫১]
২৩ মার্চ, নতুন করে আরও ৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত এবং ১ জনের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৩ এ।[৫২] মন্ত্রিপরিষদের ঘোষণায় ২৯শে মার্চ থেকে ২রা এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষিত হয়। সাপ্তাহিক ছুটি সহ ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কাঁচাবাজার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও হাসপাতালসহ জরুরি সেবা বিভাগ বাদে সকল সরকারি অফিস বন্ধ হয়। একই সাথে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়।[৫৩]
২৪ মার্চ, নতুন ৬ জন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তার মধ্যে একজন ছিলেন বিদেশী প্রত্যাবাসী। ৭০ বছর বয়সী একজন কোভিড-১৯-এ মারা যান।[৫৪]
২৫ মার্চ, নতুন কোনো আক্রান্তের ঘটনা ঘটেনি, নতুন একজন মৃত্যুবরণ করেন।[৫৫]
২৬ মার্চ, নতুন ৫ জন আক্রান্ত হন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৪৪-এ পৌঁছায়। এর মধ্যে ১১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।[৫৬]
২৭ মার্চ, নতুন আরো ৪ জন আক্রান্ত হন। করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮-এ পৌঁছালো। এর মধ্যে ২ জন চিকিৎসক।[৫৭]
২৮ মার্চ, নতুন করে ০ জন আক্রান্ত হন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা এখনো ৪৮ জন। এর মধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।[৫৮]
২৯ মার্চ, নতুন কোনো আক্রান্তের ঘটনা ঘটেনি, এমনকি কোনো রোগী সুস্থ বা মৃত্যুর খবরও পাওয়া যায়নি।[৫৯]
৩০ মার্চ, নতুন ১ জন আক্রান্ত হন। করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ জন, যার মধ্যে ১৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এবং এর মধ্যে ৩ জন ষাটোর্ধ ব্যাক্তিও আছেন।[৬০]
৩১ মার্চ, নতুন করে আরও ২ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫১ জনে। সুস্থ হয়েছেন আরও ৬ জন, মোট সুস্থের সংখ্যা এখন ২৫ জন।[৬১]
১ এপ্রিল, নতুন করে আরও ৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত এবং ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৪-এ। এছাড়াও আইসোলেশনে রয়েছেন ৭৩ জন।[৬২]
২ এপ্রিল, আরোও ২ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৬ জন। নতুন করে কারও মৃত্যুর তথ্য না আসায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এ মৃতের মোট সংখ্যা আগের মতোই ৬ জনে রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।[৬৩]
৩ এপ্রিল, আরোও ৫ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬১ জন। নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৯ জন, যার মধ্যে ৭ জন নিজ বাসায় এবং ২২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।[ 
৪ এপ্রিল, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আরো ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭০। মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩০ জন।[ 
৫ এপ্রিল, একদিনেই নতুন ১৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে হয়েছে ৮৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে, দেশে কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯ জন। দেশে গত ৮ মার্চ প্রথমবারের মত নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এটাই ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া নতুন রোগীর সর্বোচ্চ সংখ্যা।[ 
৬ এপ্রিল, করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১২ জন। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ জন। ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর এটাই প্রথম সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত করা হলো। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১২৩ জন। [৬৭] আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার ৬৪,নারায়নগঞ্জ এর ২০, মাদারীপুরের ১১ এবং গাইবান্ধা জেলার ৫ জন ব্যক্তি ছিলেন। IEDCR কর্তৃক ৫টি জেলাকে ক্লাস্টার বা গুচ্ছ সংক্রমণের কেন্দ্র বলা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত মূল সংক্রমণ এই পাঁচ জেলাতেই হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে। এছাড়াও, কয়েকটি জেলায় গুচ্ছ সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে যেগুলোতে এরই মধ্যে একাধিক আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ২, জামালপুরে ৩, কুমিল্লায় ২,চুয়াডাঙ্গায় ১ ও সিলেটে ১ জন সহ সারা বাংলাদেশের ১৫ জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়ে গেছে বলা গেছে।[৩]
৭ এপ্রিল, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আরো ৫ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭ জনে। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আরো ৪১ জন, যা এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো ১৬৪ জন।[৬৮]
৮ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ২০। এ ছাড়া, নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।[৬৯]
৯ এপ্রিল, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ জন মারা গেছেন। এ সময়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ১১২ জন। আজ ১ জনের মৃত্যু দিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১ জন। দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৩৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।[৭০]
১০ এপ্রিল, দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৭ জনে পৌঁছালো। এছাড়াও নতুন করে আরো ৯৪ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত করা গেছে। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪২৪।[৭১]
১১ এপ্রিল, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৩ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০ জন। এ সময়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫৮ জন। সব মিলে দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৪৮২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৩ জন।[৭২]
১২ এপ্রিল, দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪ জনে পৌঁছালো। এছাড়াও নতুন করে আরো ১৩৯ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত করা গেছে। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬২১। নতুন করে ৩ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৯।[৭৩]
১৩ এপ্রিল, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। এসময়ের মধ্যে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৮২। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮০৩। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৭০টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০,৬২৩টি।[৭৪]
১৪ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৬। এ ছাড়া, নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২০৯ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১,০১২ জনে দাঁড়িয়েছে।[৭৫]
১৫ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মঈন উদ্দিন, যিনি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা একমাত্র ডাক্তার।[৭৬] এছাড়া এই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২১৯ জন। এ নিয়ে করোনায় মোট মারা গেলেন ৫০ জন। আর আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১,২৩১ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৪৯ জন।[৭৭]
১৬ এপ্রিল, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জন মারা গেছেন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ৩৪১ জন। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬০ জন। দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ১,৫৭২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।[৭৮]
১৭ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৭৫। এ ছাড়া, নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৬ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১,৮৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে।[৭৯]
১৮ এপ্রিল, বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০৬ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্ত হলেন ২,১৪৪ জন এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সর্বমোট ৮৪ জনের। এছাড়াও নতুন করে ৮ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৬।[৮০]
১৯ এপ্রিল, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জন মারা গেছেন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ৩১২ জন। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯১ জন। দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ২,৪৫৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন করে ৯ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৫ জন।[৮১]
২০ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১০১। নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯২ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২,৯৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ১০ জন। এ নিয়ে মোট ৮৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হলেন।[৮২]
২১ এপ্রিল, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১০ জনের। এসময়ের মধ্যে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪৩৪ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩,৩৮২ জন। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ জন। এ নিয়ে মোট ৮৭ জন করোনা রোগী সুস্থ হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২,৯৭৪টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯,৫৭৮টি।[৮৩]
২২ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১২০। নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৩৯০ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩,৭৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫ জন। এ নিয়ে মোট ৯২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩,০৯৬টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩২,৬৭৪টি ।[৮৪]
২৩ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১২৭। নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৪১৪ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪,১৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৬ জন। এ নিয়ে মোট ১০৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলেন।[৮৫]
২৪ এপ্রিল,করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৪ জন মারা গেছেন। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে ১৩১ । গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪ জন। এখন পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১১২ জন।[৮৬]
২৫ এপ্রিল, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৯ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪০ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ৩০৯ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৪,৯৯৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। মোট সুস্থের সংখ্যা ১১২ জন।[৮৭]
২৬ এপ্রিল, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের। এসময়ের মধ্যে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪১৮ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫,৪১৬ জন। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ৯ জন। এ নিয়ে মোট ১২২ জন করোনা রোগী সুস্থ হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩,৪৭৬টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬,৫৮৯টি।[৮৮][৮৯]
২৭ এপ্রিল, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৭ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫২ জনের। এসময়ের মধ্যে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪৯৭ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫,৯১৩ জন। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ৯ জন। এ নিয়ে মোট ১৩১ জন করোনা রোগী সুস্থ হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩,৮১২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০,৪০১টি।[৯০]
২৮ এপ্রিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৫৫। নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫৪৯ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬,৪৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ৮ জন। এ নিয়ে মোট ১৩৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলেন।গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪,৩৩২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৪,৭৩৩টি।[৯১]

পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

বিভাগভিত্তিক আক্রান্ত[সম্পাদনা]

আড়াল করুন
বিভাগ ও জেলা ভিত্তিক বাংলাদেশে ২০২০ সালের করোনাভাইরাস মহামারী
বিভাগজেলা/মহানগরসর্বোমোট আক্রান্ত
জেলাবিভাগ
ঢাকাঢাকা মহানগর২৪৮৫২৪৮৫
ঢাকা (জেলা)৭৯১৫৬৮
গাজীপুর৩০৮
কিশোরগঞ্জ১৮৩
মাদারীপুর৩০
মানিকগঞ্জ১২
নারায়নগঞ্জ৬২৫
মুন্সিগঞ্জ৭২
নরসিংদী১৪২
রাজবাড়ী১৪
ফারিদপুর
টাঙ্গাইল২৩
শরীয়তপুর২২
গোপালগঞ্জ৪৯
চট্টগ্রামচট্টগ্রাম৪৮১৮৫
কক্সবাজার১৩
কুমিল্লা৪১
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া৩১
লক্ষীপুর২৮
বান্দরবন
নোয়াখালী
ফেনী
চাঁদপুর১১
সিলেটমৌলভীবাজার৭৯
সুনামগঞ্জ১৪
হবিগঞ্জ৪৭
সিলেট১২
রংপুররংপুর২০৭৬
গাইবান্ধা১৬
নীলফামারী১০
লালমনিরহাট
কুড়িগ্রাম
দিনাজপুর১৪
পঞ্চগড়
ঠাকুরগাঁও
খুলনাখুলনা৬৫
যশোর২২
বাগেরহাট
নড়াইল১০
মাগুরা
মেহেরপুর
ঝিনাইদহ
কুষ্টিয়া
চুয়াডাঙ্গা
ময়মনসিংহময়মনসিংহ৯২১৮১
জামালপুর৪৫
নেত্রকোনা২৫
শেরপুর১৯
বরিশালবরগুনা৩০১০২
ভোলা
বরিশাল৩৮
পটুয়াখালী২০
পিরোজপুর
ঝালকাঠি
রাজশাহীরাজশাহী১০৩৭
জয়পুরহাট
পাবনা
বগুড়া১২
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
নওগাঁ
নাটোর
সিরাজগঞ্জ
৮ টি বিভাগে সর্বোমোট আক্রান্ত৫,৪১৬ জন
২৬ই এপ্রিল ২০২০; সকাল ৮ ঘটিকা পর্যন্ত, আইইডিসিআর[৯২]

নমুনা পরীক্ষা[সম্পাদনা]

পরীক্ষা সম্পর্কিত তথ্য
সর্বোমোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৪৩,৫০৪
প্রতি দশ লাখে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে১৯৮
গত ২৪ ঘন্টায় পরীক্ষা৩,৭৩৭
সর্বোমোট আক্রান্ত৪,৯৯৮
২৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে

আক্রান্ত ও মৃত্যু[সম্পাদনা]

আইইডিসিআর কর্তৃক ঘোষীত বাংলাদেশে আক্রান্ত ও মৃত্যু [৯৩]
স‌র্বমোটগত ২৪ ঘন্টায়টীকা
তারিখমোট পরীক্ষিতসর্বোমোট আক্রান্তসর্বোমোট মৃত্যুসর্বোমোট সুস্থ হয়েছেননতুন পরীক্ষা করা হয়েছেনতুন আক্রান্তনতুন মৃত্যুনতুন সুস্থ হয়েছেন
২০২০-০৩-০৭১১১[৯৪]
২০২০-০৩-০৮১১১[৯৫]
২০২০-০৩-০৯১১১[৯৬]
২০২০-০৩-১০১১১[৯৭]
২০২০-০৩-১১১৪২[৯৮]
২০২০-০৩-১২১৬৩[৯৯]
২০২০-০৩-১৩১৮৭[১০০]
২০২০-০৩-১৪২১১[১০১]
২০২০-০৩-১৫২৩১[১০২]
২০২০-০৩-১৬২৪১[১০৩]
২০২০-০৩-১৭২৭৭[১০৪]১০
২০২০-০৩-১৮[১০৫]৩৫১১৪১০
২০২০-০৩-১৯[১০৬]৩৯৭১৭৪৬পুরুষ ২ জন ইতালি ফেরত এবং সেই মহিলা একজনের পরিবারের সদস্য
২০২০-০৩-২০[১০৭]৪৩৩২০৩৬
২০২০-০৩-২১[১০৮]৪৩৩*
(টীকা দেখুন)
২৪৩৬*
(টীকা দেখুন)
সম্প্রদায় বাহিত হয়ে প্রথম সংক্রমন * ২০ ও ২১ তারিখের সরকারী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একই হিসাবের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে যা সাম্ভব্য টাইপিং ত্রুটি।
২০২০-০৩-২২৫৬৪[১০৯]২৭২৭নতুন একজন চিকিৎসক সংক্রমিত হয়েছেন যিনি ২০ মার্চ মারা যাওয়া রোগীর চিকিৎসা করেছিলেন
২০২০-০৩-২৩[১১০]৬২০৩৩৫৬৩ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ; ২৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী, ২ জন ভারত ও বাহরাইন ফেরত। নতুন মৃত্যুটি সম্প্রদায় বাহিত।
২০২০-০৩-২৪[১১১]৭১২৩৯৯২
২০২০-০৩-২৫৭৯৪[১১২]৩৯৮২
২০২০-০৩-২৬৯২০[১১৩]৪৪১১১২৬
২০২০-০৩-২৭১,০২৬[১১৪]৪৮১১১০৬
২০২০-০৩-২৮১,০৭৬[১১৫]৪৮১৫৪৭
২০২০-০৩-২৯ [১১৬]১,১৮৫[১১৭]৪৮১৫১০৯
২০২০-০৩-৩০[১১৮]১,৩৩৮[১১৯]৪৯১৯১৫৩
২০২০-০৩-৩১[১২০]১,৬০২[১২১]৫১২৫১৪০
২০২০-০৪-০১[১২২]১,৭৫৯[১২৩]৫৪২৬১৫৭
২০২০-০৪-০২[১২৪]১,৯০৬[১২৫]৫৬২৬১৪১
২০২০-০৪-০৩[১২৬]২,১১৩[১২৭]৬১২৬২০৩
২০২০-০৪-০৪[১২৮]২,৫৪৭[১২৯]৭০৩০৪৩৪
২০২০-০৪-০৫[১৩০]২,৯১৪[১৩১]৮৮৩৩৩৬৭১৮
২০২০-০৪-০৬[১৩২]৩,৬১০[১৩৩]১৬৪১৭৩৩৪৬৮৪১
২০২০-০৪-০৭[১৩৪]৪,২৮৯[১৩৫]১৬৪১৭৩৩৭৯২৪১
২০২০-০৪-০৮[১৩৬]৫,১৬৪[১৩৭]২১৮২০৩৩৯৮১৫৪
২০২০-০৪-০৯[১৩৮]৬,১৭৫[১৩৯]৩৩০২১৩৩৯০৫১১২
২০২০-০৪-১০[১৪০]৭,৩৫৯[১৪১]৪২৪২৭৩৩১,১৮৪৯৪
২০২০-০৪-১১[১৪২]৮,৩১৩৪৮২৩০৩৬৯৫৪৫৮
২০২০-০৪-১২[১৪৩]৯,৬৫৩ [১৪৪]৬২১৩৪৩৯১,৩৪০১৩৯
২০২০-০৪-১৩[১৪৫]১১,২২৩ [১৪৬]৮০৩৩৯৪২১,৫৭০১৮২
২০২০-০৪-১৪[১৪৭]১৩,১২৮১,০১২৪৬৪২১,৯০৫২০৯
২০২০-০৪-১৫[১৪৮]১৪,৮৬৮১,২৩১৫০৪৯১,৭৪০২১৯
২০২০-০৪-১৬[১৪৯]১৬,৯৮৭১,৫৭২৬০৪৯২,০১৯৩৪১১০
২০২০-০৪-১৭[১৫০]১৯,০৭৭১,৮৩৮৭৫৫৮২,১৯০২৬৬১৫
২০২০-০৪-১৮[১৫১]২১,১৯১২,১৪৪৮৪৬৬২,১১৪৩০৬
২০২০-০৪-১৯[১৫২]২৩,৮২৫২,৪৫৬৯১৭৫২,৬৩৪৩১২
২০২০-০৪-২০[১৫৩]২৬,৬০৪২,৯৪৮১০১৮৫২,৭৭৯৪৯২১০১০করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ১০০ অতিক্রম
২০২০-০৪-২১[১৫৪]২৯,৫৭৮৩,৩৮২১১০৮৭২,৯৭৪৪৩৪
২০২০-০৪-২২[১৫৫]৩২,৬৭৪৩,৭৭২১২০৯২৩,০৯৬৩৯০১০
২০২০-০৪-২৩[৮৫]৩৬,০৯০৪,১৮৬১২৭১০৮৩,৪১৬৪১৪১৬
২০২০-০৪-২৪[৮৬]৩৯,৭৭৬৪,৬৮৯১৩১১১২৩,৬৮৬৫০৩
২০২০-০৪-২৫[৮৭]৪৩,১১৩৪,৯৯৮১৪০১১৩৩,৩৩৭৩০৯
২০২০-০৪-২৬[৮৯]৪৬,৫৮৯৫,৪১৬১৪৫১২২৩,৪৭৬৪১৮করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫,০০০ অতিক্রম
২০২০-০৪-২৭[৯০]৫০,৪০১৫,৯১৩১৫২১৩১৩,৮১২৪৯৭
২০২০-০৪-২৮[৯১]৫৪,৭৩৩৬,৪৬২১৫৫১৩৯৪,৩৩২৫৪৯

গ্রাফ[সম্পাদনা]

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ