করোনা ভাইরাস থেকে কি সুস্থ হওয়া সম্ভব?


করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা এখন বিশ্বব্যাপী ১৭ হাজার ৩শ’ ছাড়িয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে এর উৎসস্থল চীনের মূল ভূখণ্ডের হুবেই প্রদেশে। তবে চীনের বাইরেও এখন ১৭টি দেশে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এর মাঝে বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতও আছে। 
চলতি সপ্তাহেই ভারতের কেরালায় দু’জন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের উপসর্গ শনাক্ত করা গেছে, বলে জানায় দেশটির গণমাধ্যম। সেই সূত্রে বাংলাদেশেরও ঝুঁকি কম নয়। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে দেশের জনমনে নানা উদ্বেগ, শঙ্কা ও কৌতূহল আছে তাই কিছু মৌলিক প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখাও জরুরি। এসব তথ্য তুলে ধরেছেন খ্যাতনামা স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ জুলিয়ান গিবস। খবর সিএনএন ও বিবিসির।  
করোনা ভাইরাসের বংশবৃদ্ধিতে কতটা সময় লাগে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু’র মতে, উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগে করোনা ভাইরাসের বংশ বিস্তারে দুই থেকে ১০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে এখনও এ নিয়ে গবেষণা চলছে। এসব গবেষণার ফলাফল পাওয়া গেলে আরও সঠিক সময়সীমা জানা যাবে। 
বংশবৃদ্ধির সময় জানা খুবই জরুরি। এর দ্বারা চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্ট দেশের স্বাস্থ্যখাতের কতৃপক্ষ সংক্রমণ প্রতিরোধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এর মাধ্যমে এমন ধরনের কার্যকর কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা চালু করা যাবে, যার মাধ্যমে আরও সহজে ভাইরাস বহনের ঝুঁকি রয়েছে এমন ব্যক্তিকে জনসমাগম থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা যাবে। 
এদিকে, ক্রিস স্টেপনি এবং মিলটন কেনেস নামে অপর দুই বিশেষজ্ঞ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আরোগ্য লাভ সম্ভব কিনা তা নিয়ে আলোচনা করেন। 
তারা বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও সুস্থ হওয়া সম্ভব। এই ভাইরাসে আক্রান্ত অনেক রোগীর ক্ষেত্রে সামান্য কিছু উপসর্গ দেখা যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি এবং শ্বাস প্রশ্বাসে আংশিক সমস্যা। সামান্য উপসর্গে ভোগা অধিকাংশ ব্যক্তিরাই আরোগ্যলাভের আশা করতে পারেন। 
তবে বয়স্কদের জন্য এসব সামান্য উপসর্গও প্রাণঘাতি ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ইতোমধ্যেই যেসব ব্যক্তি ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অপেক্ষাকৃত দুর্বল তাদের জন্য ঝুঁকির মাত্রা খুবই বেশি। 
তবে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের একজন বিশেষজ্ঞ জানান, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এমন ব্যক্তিরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সামান্য উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ার পরেও সুস্থতা লাভ করেছেন এমন বেশ কিছু নজির রয়েছে। এইক্ষেত্রে কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময় লাগে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ